সবার ক্যারিয়ারেই উত্থান–পতন আছে। ধারাবাহিকভাবে রান করে যাওয়া বিরাট কোহলিও মাঝে বাজে সময় পার করেছেন। সে সময় বাবর আজম কোহলির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
পাকিস্তানের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা সাবেক পেসার আকিব জাভেদ তো ভারতীয় ব্যাটসম্যানকে খোঁচা মেরে বলেছিলেন, ‘বাবরের বাজে সময় কোহলির মতো দীর্ঘ হবে না।’ কিন্তু এখন বাবরের দুরবস্থা থেকে মনে হচ্ছে, জাভেদকে কথাটা ফিরিয়ে নিতে হবে।
পাকিস্তানের ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি অধিনায়ক বাবর তিন সংস্করণ মিলিয়ে সর্বশেষ ৩৫ ইনিংসে সেঞ্চুরির দেখা পাননি। টেস্টে তাঁর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স আরও নাজুক। ২৯ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান টেস্টে সর্বশেষ ফিফটি পেয়েছেন ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। এরপর এই সংস্করণে খেলেছেন আরও ১৬ ইনিংস, যেখানে তাঁর সর্বোচ্চ ইনিংসটি ৪১ রানের।
সম্প্রতি নিজেদের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের ধবলধোলাই হওয়া সিরিজেও ভালো করতে পারেননি। ৪ ইনিংসে মাত্র ১৬ গড়ে করেছেন ৬৪ রান। শরীফুল ইসলাম ও নাহিদ রানার গতি কিংবা সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণি—কোনো কিছুর সামনেই বাবরকে স্বচ্ছন্দ মনে হয়নি।
বাবরের সামনে আরও কঠিন পরীক্ষা। আগামী মাসেই তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যাওয়ার কথা ইংল্যান্ড দলের। ইংলিশদের বিপক্ষে ২০২২ সালে ৩–০ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছিল পাকিস্তান, যা দেশের মাটিতে তাদের প্রথমবার ধবলধোলাই হওয়ার ঘটনা।
পাকিস্তান ক্রিকেট ও বাবরের ক্যারিয়ার যখন প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তখন তাঁকে ফর্মে ফিরতে বিয়ে করার পরামর্শ দিয়েছেন বাসিত আলী। পাকিস্তানের সাবেক এ ক্রিকেটার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন, ‘বাবর আজম, তোমার মা–বাবার সঙ্গে কথা বলে বিয়ে করে নাও। এরপর তুমি পুরোপুরি ভিন্ন এক মানুষ হয়ে উঠবে। আমি জানি, যখন কোনো খেলোয়াড় ভালো খেলতে পারে না, তখন কেমন অনুভূতি হয়। আমি বাবরের মা–বাবাকে অনুরোধ করছি, ওর বিয়ের ব্যবস্থা করুন। বড় ভাই হিসেবে আমি ওকে বলতে চাই, ভাই বিয়ে করে ফেলো। তোমার যথেষ্ট বয়স হয়েছে।’
গত বছর আগস্টে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ দাবি করেছিল, অক্টোবর–নভেম্বরে ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরপরই বিয়ে করবেন বাবর। কনে তাঁরই এক কাজিন। তবে দেশটির ক্রীড়া সাময়িকী ‘ছায়া করপোরেশন’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানায়, বাবরের বিয়ের খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা। যাচাই না করে এমন সংবাদ প্রচার না করতেও অনুরোধ করে ছায়া করপোরেশন।
ইউটিউব চ্যানেলে পাকিস্তান ক্রিকেট দলেরও সমালোচনা করেছেন বাসিত, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ হারের দল পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের বড় শিক্ষা হয়েছে। এটা পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য জেগে ওঠার ডাক। ওরা এর চেয়ে নিচে নামতে পারে না। এখন তাদের জেগে উঠে চোখ মেলতে হবে। বাংলাদেশের কাছে হারের পরও যদি তোমাদের চোখ না খোলে, তাহলে শুধু নেপাল ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট খেলো।’
0 Comments